Banglar Chokh | বাংলার চোখ

পটুয়াখালীতে এবার তরমুজের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে

সারাবাংলা

প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:১০, ৩ এপ্রিল ২০২৩

সর্বশেষ

পটুয়াখালীতে এবার তরমুজের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে

চলতি মৌসুমে পটুয়াখালীতে ২০০০ কোটি টাকার বেশি তরমুজ উৎপাদনের কথা জানিয়েছে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম মল্লিকের ভাষ্য, এ বছর জেলাটিতে ২৮ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।
 
প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে উৎপাদিত হয়েছে ৩৮ টন তরমুজ। সে হিসেবে জেলায় মোট তরমুজ উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ ৯২ হাজার টন।

প্রতি কেজি তরমুজের দাম ২০ টাকা ধরলে ১০ লাখ ৯২ হাজার টন তরমুজের দাম দাঁড়ায় ২০০০ কোটি টাকার বেশি।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা  বলেছেন, তরমুজ চাষের জন্য পটুয়াখালীর মাটি খুবই উপযুক্ত। এ বছর আবহাওয়াও অনুকূলে। এর পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে দেওয়া কারিগরি সহায়তা তরমুজের বাম্পার ফলনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় এবার অন্তত ৫ হাজার ৮০০ হেক্টরের বেশি জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত খেত থেকে ৫৫ ভাগ তরমুজ উত্তোলন ও বিক্রি হয়েছে। তরমুজ চাষে বেশি লাভ হওয়ায় প্রতি বছর এর পরিসর বাড়ছে।

 জেলার মধ্যে এবার গলাচিপায় সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে এবং রাঙ্গাবালীতে ৮ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার জাহাজমারা চরের কৃষক জাকির মিয়া এ বছর এক লাখ টাকা খরচ করে ৩ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন।

জাকির জানান, এখন পর্যন্ত তিনি ৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন।

একই এলাকার আরেক তরমুজ চাষী রতন হাওলাদার ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন দেড় লাখ টাকা খরচ করে। তিনি এখন পর্যন্ত ৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। আরও যে পরিমাণ তরমুজ খেতে আছে, তার দামও প্রায় লাখখানেক টাকা।

পটুয়াখালী নিউমার্কেটে তরমুজ কিনতে আসা সবুজবাগ এলাকার নিলয়
  বলেন, 'প্রতি বছরই ছেলেমেয়েদের জন্য তরমুজ কিনি। এ বছর দামও তুলনামূলক কম। এবার প্রায় ১০ কেজির একটি তরমুজ ২০০ টাকায় কিনতে পারছি।'

স্থানীয় বাজারগুলোর পাশাপাশি পটুয়াখালীতে উৎপাদিত তরমুজ ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।

অন্য এলাকা থেকে পাইকাররা পটুয়াখালী থেকে তরমুজ কিনে ট্রাকে পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারছেন।

এতে পচনশীল এই সুমিষ্ট ফলটি সহজেই ক্রেতার নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরাও আগের থেকে বেশি লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়