Banglar Chokh | বাংলার চোখ

সিংড়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে মেয়রের গাড়িসহ ১২টি যানবাহন ভস্মীভূত

সারাবাংলা

মো. এমরান আলী রানা, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:২৭, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

সিংড়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে মেয়রের গাড়িসহ ১২টি যানবাহন ভস্মীভূত

ছবি: বাংলার চোখ

নাটোরের সিংড়া পৌরসভার গ্যারেজে রাখা মেয়রের ব্যক্তিগত গাড়ি (জিপ) ও 'চলো প্রকল্পের' ১১টি যানবাহন আগুনে পুড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সিংড়া থানার  ওসি মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ জানতে হবে।

সিংড়া ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাতে মেয়রের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়ি ও ১১টি ‘চলো’ নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজে রাখা ছিল। পৌরসভার মালিকানাধীন এই ‘চলো’ যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। আজ ভোর পৌনে চারটার দিকে হঠাৎ গ্যারেজে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এসময় গ্যারেজের নৈশপ্রহরী মাহাতাব আলী আগুনে আহত হন। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আশপাশের বাড়ির লোকজন ঘটনাটি জানার পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগে ফোন দেন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে গ্যারেজের ভেতরে রাখা ১২টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে গ্যারেজের বাইরে রাখা দুটি গাড়ি অক্ষত রয়েছে। পরে পুলিশ ও পৌরসভার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সিংড়া ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সুমন আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁদের মনে হয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে গ্যারেজে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে আগুন লাগার কারণ তদন্ত করা হবে।

সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গতকাল রাতে চালকেরা গাড়িগুলো গ্যারেজে রেখে বাড়িতে গেছেন। ভোরে হঠাৎ আগুন লেগে ১২টি গাড়ি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ নির্ণয় করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর সিংড়া শহরকে দূষণমুক্ত ও পৌরবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দুটি অ্যাম্বুলেন্স সেবার পাশাপাশি ১০টি পরিবেশবান্ধব ই-রিকশা ‘চলো’ পরিবহন প্রদান করেছে জার্মানির জিআইজেড প্রকল্প।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়