Banglar Chokh | বাংলার চোখ

সন্ত্রাসীদের হুমকি মুখে এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ যশোরের আবাসিক হোটেল শাহীন 

সারাবাংলা

মালিকুজ্জামান কাকা,যশোর থেকে

প্রকাশিত: ০১:৫০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সর্বশেষ

সন্ত্রাসীদের হুমকি মুখে এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ যশোরের আবাসিক হোটেল শাহীন 

ছবি:সংগৃহীত

চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীদের অব্যহত হুমকির মুখে শাহীন নামে একটি আবাসিক হোটেল গত এক সপ্তাহ যাবত বন্ধ রয়েছে। হোটেল শাহীন যশোর শহরের রেল রোডে সুইপার কলোনীর সামনে অবস্থিত। এছাড়া সন্ত্রাসীদের হাতে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছেন ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা। চাঁদা না পেলে করা হয় মারপিট। দেয়া হয় হত্যার হুমকি।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকারবাবু ডাকাতের ছেলে সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন, আশ্রম রোড গাড়োয়ান পট্টির আলীর ছেলে আসিফসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী ওই হোটেলের ম্যানেজারের কাছে যায়। সেখানে গিয়ে প্রত্যেকদিন তারা টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। গত এক সপআতহ আগে সুমন, অসিফসহ ৪/৫ জন ওই হোটেলে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা গালিগালাজ করে। সে সময় কর্মচারীরা এগিয়ে আসলে তাদের মারপিট করা হয়। পরে অব্যহত হুমকি মুখে ম্যানেজার ও কর্মচারীরা হোটেলে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। ওই হোটেলের মানেজার ও কর্মচারীরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখে সন্ত্রাসীদের ভয়ে আত্মগোপনে আছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

গত শুক্রবার সরেজমিন ওই হোটেলে গিয়ে হোটেলে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানিয়েছেন হোটেলটি বেশ কয়েকদিন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কী কারনে তা তারা জানাতে পারেনি।

এবিষয়ে কোতয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স) পলাশ কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের হুমকি মুখে হোটেল বন্ধ এই বিষয়টি কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এছাড়া সন্ত্রাসীদের আটকের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে বিষয়টি অতিদ্রুত দেখা হবে বলে তিনি জানান।

এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, শুধু হোটেল ব্যবসা নয়। যে কোন ব্যবসায়ীকে ব্যবসা করতে হলে ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ী টাকা দিয়ে থাকে। অনেকে নিরাপত্তার কারনে মুখ খুলতে চান না। কারন এর আগেও অনেকে মারপিট  খুন জখমের হুমকি পেয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার স্বর্তে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রেল বাজারটা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অনেক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন কাজ হয় না। খোলাচোখে পুলিশকে জানালে তারা বাজার সাময়ীক ভাবে ঘুরে যায় ঠিকই। কিন্তু গভীরে ঢুকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার কোন প্রয়োজন মনে করে না পুলিশ। মাঝেমধ্যে পুলিশ টহল দেয়। কিন্তু কার্যাত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়। ফলে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর গোপনে চাঁদাবাজি হয়ে থাকে অহরহ। ব্যবসায়ীরা ভয়ে কোন পুলিশ তো দুরে থাক সংবাদকর্মীদের কাছেও কোন অভিযোগ দিতে সাহস পায় না। বিষয়টি গুরুত্ত্বের সাথে দেখার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়