.
সিলেট বিভাগের ১১ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ৮ মে (বুধবার) অনুষ্ঠিত হবে। এ সকল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল সোমবার।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এবারও দলীয় প্রতীকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচন করতে পারবেন। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২২ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট হবে এবং বাকি গুলোয় নির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে। আগামী ৮, ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন মোট চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বহু গুন বাড়ানো হয়েছে। পঞ্চমবারের গেল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দি¦তাকারী প্রার্থীর জামানত ১০ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে এবার সেটি এক লাখ টাকা করা হয়। একই ভাবে গেলবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দি¦তাকারী প্রার্থীর জামানত ৫ হাজার টাকা থাকলেও এবার সেটি বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এবার প্রার্থীরা সরাসরি কিংবা অনলাইনে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৭ এপ্রিল বুধবার। রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের তারিখ ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তির তারিখ ২১ এপ্রিল রোববার। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল সোমবার। আর ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।
জানা গেছে, দেশে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপজেলা পরিষদ পদ্ধতি চালু করেন। উপজেলা পরিষদ হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদেও ভোট হয়। আগের চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয় ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে সরাসরি দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।