ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

১ পৌষ ১৪৩২, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

হাদিকে গুলি : নিখুঁত ভাবে সাজানো হয় পরিকল্পনা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০২:১০, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

হাদিকে গুলি : নিখুঁত ভাবে সাজানো হয় পরিকল্পনা

ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে অত্যন্ত নিখুঁত পরিকল্পনায় সাজানো হয় মাস্টার প্ল্যান। দিনেদুপুরে ঢাকার রাজপথে হাদিকে গুলি করা হলো। এর আগে হাদির নির্বাচনী প্রচার কাজে জড়িত হওয়া, হাদির কাছাকাছি হওয়া, চলন্ত মটরসাইকেলে বসে নিখুঁত নিশানায় গুলি করা, শ্যুটার ফয়সাল করিম মাসুদ দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে অদৃশ্য হওয়া, আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে নির্বিঘ্নে দেশের সীমান্ত এলাকা শেরপুরের নালিতাবাড়ি এলাকায় পৌঁছানো এবং একের পর এক বাহন-মোবাইল পরিবর্তন করা সবই পূর্ব পরিকল্পনার অংশ বলেই মনে করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা এই মাস্টার প্ল্যানের কারিগর হলেও বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়েছে দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি এবং যারা সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে চায় এমন লোকজনকে। তদন্তে একটি শক্তিশালী ইসলামি দলের কতিপয় সদস্যদের সম্পৃক্ত থাকার তথ্য আসায় তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে মাঠে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পথে পথে নিশ্ছিদ্র শেল্টার ছাড়া শ্যুটারের পক্ষে কোনো ভাবেই এতো পথ নির্বিঘ্নে অতিক্রম করা সম্ভব নয়। এ ঘটনার নেপথ্যে কোনো শক্তিশালী বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক রয়েছে যারা আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে অজানা। বাহিনীর লোকজনের কল্পনাও আসছে না এমন ব্যক্তিরা অপরাধ নেটওয়ার্কে জড়িত হতে পারে।

দিনেদুপুরে হাদিকে হত্যাচেষ্টায় গুলির লোমহর্ষক ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদকে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিয়েই মাঠে নামানো হয়েছে। গুলির আগে একাধিকবার রেকি করেই মিশনে নামে ফয়সাল করিম ও তার সাথে থাকা আলমগীর শেখসহ জড়িতরা। এ ঘটনায় একাধিক গ্রুপ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

অন্যদিকে প্রকাশ্যে দিনেদুপুরে হাদিকে গুলির পর থ্রিলার মুভির শ্যুটারের মতোই ওই রাতেই ফয়সাল করিম মাসুদ ভারতে চলে গেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তের সাথে জড়িত পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা। ফলে আইন শৃংখলা বাহিনীর ধারণা হাদিকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনায় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কাজ করছে। যাদের সহায়তা ও প্রোটেকশনে ফয়সাল করিম মাসুদ ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে ঢুকে পড়লে তাদের গ্রেফতার করে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ আহ্বান জানানো হয়। রোববার প্রণয় ভার্মাকে তলব করা হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়া এ ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদের মধ্যে রয়েছে যে মটরসাইকেল ব্যবহার করে হাদিকে গুলি করা হয় সে মটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নান, বাইক চালক আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মিলন ও হাবিবুর রহমান, শেরপুরের নালিতাবাড়ি সীমান্ত এলাকায় থেকে সিবিয়ন দিও ও সঞ্জয় চিসিম। ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে দ্বিতীয় দিনেও তেমন কোনো আশার কথা শোনাতে পারেননি চিকিৎসকরা। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তার মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের চেয়ে বেড়েছে এবং একইসঙ্গে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড। রোববার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ কো-অর্ডিনেটর এবং সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, তদন্তে জানা যায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা হেলমেট পরিহিত অবস্থায় ভিকটিম ওসমান হাদিকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং সনাক্তকৃত সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান রয়েছে। সন্দেভাজন ব্যক্তিরা যেন সীমান্ত পার হতে না পারে সেজন্য তাদের পাসপোর্ট ব্লক করা হয়েছে এবং সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেফতারে সহযোগিতায় তথ্য প্রদানকারীর জন্য সরকার কর্তৃক ৫০ লক্ষ টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত দিয়ে লোক পারাপারে জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যা চেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেড’-এর কম্পিউটার জব্দ করেছে পুলিশ। তার পরিবারের একজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি এবং এর পর জড়িতদের নিরাপদে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার মাস্টার প্ল্যান অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক সম্পন্ন করা হয়েছে। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে গুলির সাথে জড়িতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জড়িতরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গেছে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কর্মকর্তারা আরও বলছেন, গুলির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ পরিকল্পনাকারী নেটওয়ার্কের সহায়তায় মটরসাইকেলে প্রথমে ঘটনাস্থল বিজয়নগর থেকে সাভার হয়ে ধামরাই যায়। সেখান থেকে অন্য একাধিক গাড়ি পরিবর্তন করে শেরপুরের নালিতাবাড়ি সীমান্ত এলাকায় যায়। সেখান থেকে সীমান্তে যায় ফয়সাল। এর পরে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে গেছে না বাংলাদেশে পলাতক রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সীমান্তে ফয়সাল করিম মাসুদের সাথে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে সীমান্তে ভারতে মানব পাচারকারী সিবিয়ন দিও ও সঞ্জয় চিসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য প্রকাশ করতে নারাজ ওই কর্মকর্তারা।

অপরাধী চক্রের এই নিখুঁত হত্যাচেষ্টার পর পুলিশের চোখের আড়ালে নিরাপদে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. কুদরাত ই খুদা বাবু ইনকিলাবকে বলেন, একটা বিষয় লক্ষণীয়, একের পর এক হত্যাকা- ঘটেই চলেছে। একটি ঘটনা নির্বৃত্ত হচ্ছে তো আরেক ঘটনা এসে হাজির। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া তৎপরতা কমছেনা। পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করেও অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সাধারণ মানুষের আস্থার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পুলিশ বর্তমানে অনেক তৎপর। তারপরও ঘটনা তো থেমে নেই। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে একদিকে যেমন পুলিশের কঠোর ভূমিকা প্রয়োজন, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের সচেতনতাও জরুরি। তবেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, যে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়েছে, সেটির মালিক আবদুল হান্নান। তাকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। জব্দ মোটরসাইকেল ও আটক হান্নানকে পল্টন থানায় দেওয়া হয়েছে। এখন গুলি করা ব্যক্তি হিসেবে সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব।

ডিএমপির উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, হত্যাচেষ্টার এই ঘটনায় আবদুল হান্নানের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই হান্নান রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকার বাসিন্দা। তার স্থায়ী ঠিকানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে। এই হান্নান হাদিকে গুলিবর্ষণে প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের পূর্বপরিচিত, যাকে খুঁজছে পুলিশ। ওসমান হাদিকে গুলি করা অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এরই মধ্যে শ্যুটারকে শনাক্ত করা হয়েছে। যদিও অপরাধীরা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে কি না, এমন কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। কেন তাঁকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে, তা তদন্তে উঠে আসবে। হামলাকারীদের শনাক্ত গ্রেফতারে পল্টন থানার পাশাপাশি র‌্যাব, ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট তদন্ত করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো অব্যাহত রেখেছে। ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানকে ৩ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার, অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা ও অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং অর্থ ও তথ্যের প্রবাহ নির্ণয়ের জন্য রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহের উৎস জানার কথাও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বাইক চালকের ঘনিষ্ঠ ২ জন গ্রেফতার: যে বাইক ব্যবহার করে হাদিকে গুলি করা হয় সে বাইকের চালক আলমগীরের ২ ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলো- মো. মিলন ও হাবিবুর রহমান হাবিব। রোববার ভোরে রাজধানীর অদূরে হেমায়েতপুরের জাদুর চর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রগুলো বলছে, কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া বাইকচালক আলমগীরের খুবই ঘনিষ্ঠ সহযোগী এ দুজন। ঘটনার দিন আলমগীর ও এ দুজনের মধ্যে সব মিলিয়ে শতাধিকবার ফোনালাপ হয়েছে। বাইকচালক আলমগীরের ফোন থেকে মিলনের ফোনে ৭৪ বার যোগাযোগের তথ্য মিলেছে। অপরদিকে হাবিবের ফোনে আলমগীরের ফোনে যোগাযোগ হয়েছে ৫২ বার।

মাসুদের ব্যাংক হিসাব জব্দ: জুলাই যোদ্ধা হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেড’-এর সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইসির এক সিনিয়র কর্মকর্তা। ফয়সাল করিম মাসুদের প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেড’ সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা খাতের বাণিজ্য সংগঠন বেসিসের সদস্য। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হয়েছিলেন।

ভারত থেকে হাদির চিকিৎসকদের হুমকি : এদিকে হাদির চিকিৎসকদের ভারতের নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমনকি চিকিৎসকদের নম্বর বিভিন্ন পাবলিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করেছেন হাদির চিকিৎসকরা। হাদির চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসক বলেন, আমাদের জীবন হুমকির মুখে আছে। আমাদের ধারাবাহিকভাবে ভারত থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রুপে নম্বর ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের পরিবার ও বাসার লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা অভিযোগ করছেন, যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন এবং নির্বাচন ভ-ুলের চেষ্টা করছে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তাদের কারো কারো যোগসাজশ থাকতে পারে। তবে

নির্বাচন কমিশন আইন শৃংখলা বাহিনীকে বার্তা দিয়েছে সন্ত্রাসীরা যেন পার পেয়ে না যায়। গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেজন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক থাকতে হবে। যে ব্যক্তি সন্দেহভাজন, তিনি সখ্য গড়েছেন, তার অতীত আছে, ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে, রেবেল হান্টে যাদের ধরা হয়েছিল তাদের বড় অংশ জামিন পেয়েছে তাদের ধরতে হবে। যারাই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে তারা ব্যর্থ হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, সময় মতো ভোট হবে।

 

উৎস:ইনকিলাব

আরও পড়ুন