ঢাকা, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ মুহররম ১৪৪৭

পাটচাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছে কৃষক 

মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা

প্রকাশ: ১৭:১০, ১৮ জুন ২০২৫

পাটচাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছে কৃষক 

ছবিটি বুধবার পাইকগাছার মামুদকাটি থেকে তোলা।

খুলনার পাইকগাছায় কৃষক  পাটচাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের বাম্পার উৎপাদনে  আশাবাদী পাটচাষীরা। কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাট উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগ বিভাগ আশা করছে।উপজেলায় পাটের আবাদ ভাল হওয়ায় চাষীরা সোনালী স্বপ্ন দেখছে। বিগত বছর পাটের দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকদের পাটচাষে আগ্রহ বেড়েছে।

গত বছর পাটের দাম ভাল পাওয়ায় এ বছর উপজেলায় পাটের আবাদও বেড়েছে। পাটের বীজ বপনের সময় বৃষ্টি হওয়ায় পাইকগাছায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। উপজেলা কৃষি  অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৩৭৫ হেক্টর। লবণাক্ত পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভার জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।

উপজেলার হিতামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম  জানান, পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। কৃষক সামাদ জানান, এখন পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ দিন দিন ডোবা ও জলাশয়গুলি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাট জাগ দেওয়া জায়গা পাওয়া যায় না। একই স্থানে একাধিকবার পাট জাগ দিতে হয়। এতে সময়মত পাট জাগ দিতে না পারায় পাটের আশ ভাল পাওয়া যায় না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হতে হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে পাটের আশ ভালো হবে বলে আশা করছেন পাট চাষিরা।

উপজেলার সকল কৃষককে সরকারিভাবে পাটের বীজ প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্ষেত বিশেষ পাট প্রায় ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত বড় হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন বাংলার চোখকে জানান, পাট বীজ বপনের সময় বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। পাট চাষিদের কৃষি অফিস থেকে তদারকি ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাটকাঠি ও পাটের আশ থেকে কৃষকরা আশানারুপ মূল্য পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন