ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪:২০, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ফাইল ছবি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে পৃথক দুই অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। যে অভিযোগে এ দুজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, সে রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করবে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। দুপুর ১২টায় আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ এ আবেদন জমা দেবে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন।
গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একটি মামলায় গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন বলেন, প্রসিকিউশন রায় সংগ্রহ করেছে। তাতে দেখা গেছে, একটি অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
আরেকটি অভিযোগে এই দুজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তাই প্রসিকিউশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে, সেটার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে। এই শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করার আবেদন করা হবে। ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করা হবে বলেও তিনি জানান।
ট্রাইব্যুনাল আইনের ২১ নম্বর ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিলের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এই ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, দণ্ড ও সাজা প্রদান অথবা খালাস অথবা কোনো সাজা দেওয়ার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এই সময়সীমা (রায় দেওয়ার ৩০ দিন পর) অতিক্রান্ত হওয়ার পর কোনো আপিল গ্রহণযোগ্য হবে না।
আর ২১ নম্বর ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, আপিল করার তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। ১৭ ডিসেম্বর রায়ের ৩০ দিন পূর্ণ হবে।