ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

১১ পৌষ ১৪৩২, ০৫ রজব ১৪৪৭

আপত্তিকর’ ভিডিও দেয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে সহকারী শিক্ষিকা বরখাস্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭:৪৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

আপত্তিকর’ ভিডিও দেয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে সহকারী শিক্ষিকা বরখাস্ত

ছবি :সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ‘কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর’ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সহকারী শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তাকে বরখাস্ত করে।

সাময়িক বরখাস্তকৃত সহকারী শিক্ষিকা জেলার নাচোল উপজেলার বহরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নুসরাত জাহান।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষিকা নূসরাত জাহানের কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তিনি জেলা জুড়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেন। এরই প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নূসরাত জাহান ফেসবুক ও টিকটকে নিজের জিম ও নাচের কিছু ভিডিও আপলোড করে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভিডিওতে তাকে ‘অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও আপত্তিকর পোশাকে’ দেখা গেছে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ভিডিওগুলো ভাইরাল হলে জেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ বিষয়ে বহরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) নুসরাত জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এর আগে শিক্ষা অফিস তাকে শোকজ করেছিল। তিনি জবাবও দিয়েছিলেন এবং ভুল স্বীকার করে সব ভিডিও ডিলিট করেছিলেন বলে আমি জানি।

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ভিডিওগুলো তার ব্যক্তিগত কর্মকান্ডের অংশ। বিদ্যালয়ে পাঠদান বা উপস্থিতির সময়ে এসব করা হয়নি। এমনকি তার বিরুদ্ধে একাডেমিক কোনো অভিযোগও নেই। তবে এর আগে তাকে আপত্তিকর ভিডিও আপলোড করতে নিষেধ করা হয়েছিল।

তবে ভিডিওগুলো আপত্তিকর নয় বলে দাবি করে অভিযুক্ত শিক্ষিকা নূসরাত জাহান বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে পাঠদান বা উপস্থিতি সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ নেই। ব্যক্তিগত জীবনে আমি জিম করার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেছিলাম। দেশে প্রচলিত পোশাক পরিধান করেই এসব ভিডিও ধারণ করা হয়। কিন্তু আমাকে হেনস্তা করতেই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর আগে নোটিশ পাওয়ার পরই আমি ভিডিও ডিলিট করি এবং ফেসবুক আইডিও ডিঅ্যাকটিভ করেছি।

  

আরও পড়ুন