ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫:০০, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি :সংগৃহীত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবী শহিদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজার পর মিছিল নিয়ে সবাইকে শাহবাগে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে শহিদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা নামাজের আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, আমরা এখানে কান্না করার জন্য দাঁড়াইনি, ভাইয়ের বদলা নিতে জানাজায় দাঁড়িয়েছি।
কোনো ধরনের সহিংসতার আহ্বানে সাড়া না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জাবের বলেন, ইনকিলাব মঞ্চ থেকে সব ধরনের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হাদির ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীকে সপ্তাহব্যাপী তাদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণকে জানানোর দাবি করেন তিনি।
এর আগে হাদির জানাজায় বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি হাদির জন্য সকলের কাছে দোয়া চান। জাবেরের পর বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর বক্তব্য রাখেন হাদির বড় ভাই। এবং তিনিই হাদির জানাজার নামাজে ইমামতি করেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ওসমান হাদির জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন তার বড় ভাই ড. মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় অংশ নিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় লাখো মানুষের ঢল নামে। খামারবাড়ি থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত পুরো এলাকা এখন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার সার্জারি হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ (শনিবার) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে।