ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:১৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল সানাউল্লাহ। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেছেন, একটা মেসেজ সকল বাহিনীর পক্ষ থেকে সমস্বরে এসেছে। যারাই এই নির্বাচন বানচাল করার, প্রতিহত করার বা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করবেন, তারা ব্যর্থ হবেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, যেখানে যতটুক দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন সকল বাহিনী ততটুক দৃঢ় হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইস ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই। নির্বাচন সময়মতো হবে। নির্বাচনের পথে যে বাধাগুলো তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে, সেগুলো সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন অবহিত, সরকার অবহিত।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ডেভিল হান্ট ১ শুরু হওয়ার পর যেসব সন্ত্রাসীকে অ্যারেস্ট করা হয়েছিল তাদের বড় একটা সংখ্যা ইতোমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে। সেটা নিয়ে করণীয় কী, আমরা কথা বলেছি। এই চোরাগুপ্তা হামলাটা কি কোনো বড় পরিকল্পনার অংশ, নাকি এটা একটা আইসোলেটেড ইভেন্ট— আলোচনা করেছি। যদি বড় পরিকল্পনার অংশ হয়ে থাকে তাহলে তার পরিকল্পনা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর কোনো কিছু করার অবকাশ ছিল কিনা বা ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় আমাদের কোনো ফেইলিউর আছে কিনা— এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
চোরাগুপ্তা হামলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন বলে জানান ইসি সানাউল্লাহ।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নেওয়া কার্যক্রম নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। অধিক সংখ্যায় চেকপয়েন্ট বসিয়ে সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম লিমিট করা, তাদের চলাচল লিমিট করা, যেসব সন্ত্রাসী এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা, অবৈধ ও হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারে অভিযান চালানো।
আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাক্টিভলি কাজ করছে। মাঠপর্যায়ে চোরাগুপ্ত হামলার যে ঘটনা ইতিমধ্যে ঘটেছে, সেগুলোর স্বরূপ নিরূপণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এগুলো প্রতিহত করার জন্য যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, একটি কথা বলা দরকার, যারা আমাদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন, বন্ধু সেজে, তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি যারা আছেন এখন মাঠে। এই ঘটনাটা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সহযোগী সেজেই কিন্তু আমাদের ভিতরে নাশকতাকারী থাকতে পারে। ঘটনা ঘটিয়ে ফেললে তারপরে হয়তো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা হয়ে যাবে। সবারই সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ করে থাকে। এই সুযোগে সন্ত্রাসী বা নাশকতাকারীরা যেন ছাড় না পায়, সুযোগ না পায়।
তফসিল ঘোষণার পরপরই এ ঘটনা ঘটল, সবার ভেতর ভীতির সঞ্চার হলো কিনা— সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, আমি যদি বলি, তাদের এই উদ্দেশ্যই তো ছিল। তারা চাচ্ছে একটা ভীতির পরিবেশ তৈরি হোক। এটা সাকসেসফুল হতে দেওয়া হবে না