আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:৫৫, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি :সংগৃহীত
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর করা নিয়ে যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোরালো আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই গাজা শহরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন এই হামলায় এক নারীসহ ছয় ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই পৈশাচিক হামলাকে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির এক গুরুতর ও ন্যাক্কারজনক লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড ও আনাদোলুর তথ্যমতে, গাজা শহরের আল-তুফাহ এলাকার একটি স্কুলভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনী এই বর্বর গোলাবর্ষণ চালায়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল-তুফাহ এলাকায় হঠাৎ একটি ইসরায়েলি ট্যাংক প্রবেশ করে সরাসরি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ শুরু করে। সেই সময় সেখানে একটি বিয়ের আয়োজন চলছিল এবং বহু পরিবার আনন্দঘন মুহূর্তে উপস্থিত ছিল। হামলার পর প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি সেনারা অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দেয়, ফলে আহতদের রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল যখন কাতার, মিসর ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনার টেবিলে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের নেতৃত্বে এই কাঠামোবদ্ধ আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিশ্চিত করেছেন যে, শান্তি ফেরাতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ চলছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ঘোষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এ পর্যন্ত শত শতবার চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ।