ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩:৪৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) উদ্যোগে আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘বিজয় বইমেলা’।
বাংলা একাডেমির মাঠে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বিজয় বইমেলা। তবে শুক্রবার ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ।
এই বইমেলায় অংশ নেবে দেশের প্রায় ২০০ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। থাকবে হাজারো পাঠকের সমাগম, শিশু–কিশোরদের জন্য বিশেষ আয়োজন, মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র, ঐতিহ্যবাহী সংগীত, লেখক–পাঠকের সরাসরি সাক্ষাৎ—সবকিছু মিলিয়ে বিজয় বইমেলা হয়ে উঠবে একটি জীবন্ত, প্রাণবন্ত ও জাতীয় জীবনঘনিষ্ঠ আয়োজন।
বিজয় বইমেলা উদ্যাপন জাতীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং প্রন্থিক প্রকাশনের প্রকাশক রাজ্জাক রুবেল, বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস, সংগ্রাম ও অর্জনের প্রতিটি অধ্যায়ে ‘বিজয়’ শব্দটি আমাদের অস্তিত্বের গভীরে নতুন চেতনা জাগ্রত করে। ডিসেম্বর মাস আমাদের কাছে শুধু স্বাধীনতার স্মরণ নয়—এটি আত্মবিশ্বাস, আত্মত্যাগ, স্বপ্ন ও পুনর্জাগরণের মাস। আর সেই চেতনাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বিজয় বইমেলা কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়; এটি বিজয়ের আলোকে বইয়ের শক্তিকে পুনরুদ্ধার করার এক অনন্য জাতীয় উদ্যোগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বইমেলা কোনো সাধারণ বাণিজ্যিক আয়োজন নয়—এটি এক জাতির চিন্তা–চেতনা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মানবিকতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের মহামঞ্চ। বই কেনা–বেচার বাইরে বইমেলা মানুষকে পরিচিত করে নতুন ধারণা, যুক্তিবোধ, মানবিক মূল্যবোধ, প্রজ্ঞা এবং নৈতিকতার সঙ্গে। শিশুদের জন্য এটি কল্পনার নতুন জগত, তরুণদের জন্য এটি সম্ভাবনার দিগন্ত, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এটি জীবন, সমাজ ও বিশ্বকে নতুন চোখে দেখার উপলক্ষ। ফলে বইমেলা একটি জাতির মানসিক স্থাপত্য নির্মাণের অন্যতম শক্তিশালী সাংস্কৃতিক উৎসব।’
রাজ্জাক বলেন, ‘এখানে বই শুধু পণ্য নয়, এটি স্বাধীন চিন্তার প্রতীক, মানবিকতার প্রতীক, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা, আলোকিত চেতনা ও জাতি গঠনের প্রতীক। বাংলা একাডেমির মাঠে আয়োজিত এই মেলা হবে আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক ধারার একটি মর্যাদাপূর্ণ সংযোজন।’
শুধু মেলা আয়োজন নয়, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে বাপুস। সেই লক্ষ্যে আগামী বছরের মে মাসে সংগঠনটি আয়োজন করতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস বুক ফেয়ার। একই বছর দেশের ৬৪ জেলায় বইমেলা আয়োজন করা হবে। দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলা আয়োজনের পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে বাপুস। আন্তর্জাতিক বইমেলাও আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে সংগঠনটি।