প্র্রতিনিধি
প্রকাশ: ০০:১০, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি :সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জাতীয় স্মৃতিসৌধ যাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকা টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের বিভিন্ন স্থানে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অন্তত ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকামুখী হাজার হাজার যাত্রী।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর থেকে চন্দ্রা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীর যানজট আরও প্রখর হয়ে ওঠে। রাত সাড়ে ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই মির্জাপুর থেকে চন্দ্রা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ধীর ধীরে এই যানজট বৃদ্ধি পেয়ে অন্তত ৩০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। এতে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে সড়কে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চল থেকে যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো যানজটে পড়ে আছে তিন ঘণ্টা ধরে। যানজটে নাজেহাল হয়ে অনেক যাত্রী জিনিসপত্র নিয়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। অনেকেই পরিবহন বন্ধ করে গল্পগুজব করছেন।
উত্তরাঞ্চল থেকে আসা আব্দুল হাই নামে এক বাসের যাত্রী বলেন, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আমি এখানে আটকে আছি। গাড়ি পিঁপড়ার মতো একটু যায় আবার আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। কেন এই যানজট কিছুই বুঝলাম না। দেশে কি আইন-শৃঙ্খলা নেই নাকি?
বিল্লাল হোসেন নামে এক প্রাইভেট কার চালক বলেন, এত বড় মহাসড়কে এত তীব্র যানজটের কোনো কারণ আমি দেখছি না। হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ১০ মিনিটের রাস্তা ২ ঘণ্টা ধরে বসে আছি। একটা ট্রাফিক পুলিশও পেলাম না কোথাও।
রাব্বি হোসেন নামে এক পিকআপ চালক বলেন, ভাই কী আর বলব, গোড়াই থেকে কালিয়াকৈরে বাইপাস পর্যন্ত আসতে আমার ২ ঘণ্টা সময় লাগলো। গাড়িতে ৩টা গরু ভরা। এমন দুর্ভোগ কেন বা কী কারণে বুঝলাম না। একতো পুলিশ নেই সড়কে। যে যার মতো করে গাড়ি এলোমেলো করে বন্ধ করে আছে।
কালিয়াকৈর থানার পাশের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজিকে আজ সিজারিয়ান ডেলিভারি করাতে সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কালিয়াকৈর থেকে চন্দ্রা গেলে তীব্র জ্যামের সম্মুখীন হই। এ সময় তার তীব্র প্রসব ব্যথা ওঠে। একপর্যায়ে গাড়িতেই তার ডেলিভারি হয়ে যায়। পরে অনেক কষ্টে তাকে সফিপুর তানহা হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।
এ ব্যাপারে গাজীপুর রিজিয়নের নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলমকে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে গাজীপুর জেলা ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর (টি আই) শাহাবউদ্দিননের ব্যবহৃত সরকারি ফোন নম্বরে কল করলেও তার সংযোগ পাওয়া যায়নি।