ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

৩ পৌষ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

হাদিকে গুলি:ফয়সালের বাবা গ্রেফতার, ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০০:৪৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

হাদিকে গুলি:ফয়সালের বাবা গ্রেফতার, ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার

হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্র । ছবি :সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা হুমায়ুনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।  
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা হুমায়ুনকে ফয়সালের শ্বশুর বাড়ি নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় পুকুর থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল করে আসা দুই জনের একজন তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালানোর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে শনাক্ত করে। তারা হলেন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান (প্রধান সন্দেহভাজন শুটার) এবং আলমগীর হোসেন (বাইক চালক)। এ ঘটনায় ফয়সাল করিমের স্ত্রী, প্রেমিকা ও শ্যালককে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
 
 এদিকে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিকানা নিয়ে আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামানের আদালত কবিরের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এদিন কবিরকে আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রিমান্ড শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক কবির এবং তিনি মোটরসাইকেল সরবরাহের মাধ্যমে অপরাধে সহযোগিতা করেছেন।
 
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করলেও আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
 
আদালতে কবির নিজের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, তিনি মূলত উবার গাড়ি চালাতেন। ফয়সাল করিম মাসুদ মাঝেমধ্যে তাকে ফোন করে গুলশানসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন। তিনি জানান, প্রায় ১৮–২০ দিন আগে ফয়সাল তাকে ফোন করে ওসমান হাদির অফিসে নিয়ে যেতে বললে তিনি সেখানে মাসুদকে নিয়ে যান।
 
মোটরসাইকেলের মালিকানা প্রসঙ্গে কবির বলেন, মোটরসাইকেলটি তার বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছেন। তারা দুজন একই দিনে মোটরসাইকেল কিনতে যান। তখন শুভ তার (কবিরের) আইডি কার্ড ব্যবহার করে মোটরসাইকেলটি কিনেছিলেন। তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলের অন্যান্য কাগজপত্র শুভর নামেই রয়েছে এবং সেটি অনেক দিন আগে কেনা হয়েছিল।
 
এর আগে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন এলাকা থেকে হাদিকে হত্যাচেষ্টার শুটার ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবিরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

আরও পড়ুন