ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০:৪১, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
সংগৃৃহীত
ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই ঢাকায় ও ভোলায় নানান কর্মসূচি পালনের পর আজ রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছেন ঢাকাস্থ ভোলা জেলার বাসিন্দারা। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে কয়েকশ মানুষ শাহবাগে অবস্থান নেওয়ায় আশেপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সেতু নির্মাণের দাবির পাশাপাশি ভোলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ ও গ্যাস সংযোগ প্রদানের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পলিটন পুলিশ-ডিএমপি’র শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর বলেন, আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
‘আমরা-ভোলাবাসী’ সংগঠনের ব্যানারে শাহবাগে আন্দোলনরতরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা আমাদের পাঁচটি দাবি পূরণের জন্য আন্দোলন করছি। দাবিগুলো হলো- ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান অগ্রগতি, ভোলার ঘরে ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। এসব দাবি পূরণে আমরা ভোলায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছি। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈন উদ্দীন এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়।
কিন্তু গত ১৪ নভেম্বর ভোলা সফরকালে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এখনো ভোলা-বরিশাল সেতুর নকশার কাজই শুরু হয়নি, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তে আটকে আছে। তার এ কথার প্রতিবাদেই সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেদিনই থেকেই ভোলা থেকে ঢাকার সেতু ভবন অভিমুখে আমরা লংমার্চ শুরু করি। লংমার্চে অংশ নেওয়া আমাদের সঙ্গীরা তেতুলিয়া নদী সাঁতরে পাড়ি দিয়ে বরিশালে পৌঁছান। সেসময় টানা সাঁতার কেটে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েও পড়েছিলেন। এখন বাধ্য হয়ে আমরা শাহবাগ অবরোধ করেছি। এটা আমাদের ভোলাবাসির প্রাণের দাবি। দেশে এত বড় বড় সেতু নির্মাণ হয়, এত কিছু হয় আর আমাদের নদী সাঁতরে আসতে হয়। তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমাদের ভোলাবাসিদেরকে বাংলাদেশের স্থল থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তাই আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই নভেম্বর ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দাবিতে ভোলায় সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টাকে ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অন্তত ২০ মিনিট অবরুদ্ধ রাখা হয়। ‘আমরা-ভোলাবাসী’ সংগঠনের ব্যানারে ওই দিন একদল লোক বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা।