Banglar Chokh | বাংলার চোখ

সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূলে নেওয়া হয়েছে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘আবদুল্লাহ’

জাতীয়

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৪৪, ১৬ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূলে নেওয়া হয়েছে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘আবদুল্লাহ’

ছবি:সংগৃহীত

সোমালিয়ার উপকূল গারাকাতে নোঙর করা হয়েছিল জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এই অবস্থানেরই ছিল জাহাজটি। এর একদিন পর আজ শুক্রবার আবার চলতে শুরু করেছে সেটি। 

এদিন সকালে জলদস্যুদের নির্দেশে নোঙর তুলে ফেলা হয়েছে। এরপর জলদস্যুরা জাহাজটি চালাতে নির্দেশ দেয়। বর্তমানে জাহাজটি গারাকাত উপকূল থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠানকে প্রেরণ করা এক ইমেইলে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর  চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান। 

আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইমেইলে এ বার্তা দেন মো. আতিক। জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিডেটের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম ও জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠানের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক জাহাজে নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি জলদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের জাহাজ ও নাবিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সোমালিয়ার গারাকাদ উপকূলে দস্যুদের আস্তানায় নোঙর করা হয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সেখানেই ২৩ নাবিককে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। তবে তাদের সাহরি ও ইফতারের সুযোগ দিচ্ছে দস্যুরা। যদিও এখনো দস্যুদের পক্ষ থেকে জাহাজের মালিকের কাছে মুক্তিপণ বা অন্য কোনো বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে। উপকূল থেকে জাহাজে যেতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগবে।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়। 

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়