Banglar Chokh | বাংলার চোখ

উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি 

রাজনীতি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:৫২, ২৭ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি 

.

বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল বিএনপি। দলটি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নেবে না। তবে তৃণমূলের অনেকের এ নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহ থাকায় সম্প্রতি দলের হাইকমান্ড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে মানে দলের পদ-পদবি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।

জানা যায়, সম্প্রতি ঢাকা বিভাগীয় জেলা-উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয় তৃণমূলের সঙ্গে দলটির হাইকমান্ডের। এ সময় তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, চলমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে দলের কেউ অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক জেলার শীর্ষ নেতারা বলেন, তাদের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে দলের কেউ অংশ নিলে তাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে। অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনেরও কেউ অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধেও একই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে দলের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন, শেষ মুহূর্তে দল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে নমনীয় হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে সে রকম সম্ভাবনা এখন আর নেই।

বিএনপি নেতারা জানান, দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। এ জন্য নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। এ আন্দোলন করতে গিয়ে তাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী নিখোঁজ-খুন, পঙ্গু হয়েছেন। মিথ্যা মামলা-হামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির আহ্বানে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন দেশের মানুষ বর্জন করেছেন। এ অবস্থায় ক্ষমতাসীনদের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে গেলে জনমনে একটা ভুল বার্তা যাবে। মানুষ মনে করবে, বিএনপি তার অবস্থান থেকে সরে গিয়ে সরকারকে মেনে নিয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অতীতে যারা নির্বাচন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন, তাদের বিরুদ্ধেও দল আগের মতোই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।

 প্রসঙ্গত, আগামী মে মাসে চার ধাপে ৪ শতাধিক উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। ফলে এ নির্বাচনে ‘নৌকা’ প্রতীক এবং আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকছে না।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়