ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:০৯, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি :সংগৃহীত
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাজধানী ঢাকায় শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার যাওয়ার প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন।
বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অবিলম্বে তারেক রহমানকে ফিরে এসে দেশ ও দলের নেতৃত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে কয়েকজন এভারকেয়ার হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে না নিয়ে এখানেই চিকিৎসার প্রদানের অনুরোধ করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবরের পরিচালনায় এ বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, একটু আগে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি কথা বলেছেন যে, আম্মা অসুস্থ হওয়ার আগে সবশেষ যে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ২১ নভেম্বর (সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান) সেখান থেকে আসার পরে উনি অসুস্থ হয়েছেন। সেনাবাহিনীর ওই অনুষ্ঠানে উনি গিয়েছিলেন এবং অসুস্থ হয়েছেন সেটা হচ্ছে ভিন্ন প্রেক্ষাপট।
“যাবার আগেও কিন্তু উনি একটু অসুস্থ ছিলেন। ওনাকে চিকিৎসকরা কয়েকবার বলেছিলেন যে, ম্যাডাম মনে হয়- না গেলে বোধ হয় ভালো হয়। কিন্তু ওই অসুস্থ শরীরেও উনি ওনার মনের সর্বোচ্চ শক্তিকে এক করে ওই অনুষ্ঠানটিতে উনি গিয়েছিলেন। এবং উনি যখন অনুষ্ঠানটি থেকে ফিরে আসেন তারপরে আমাদের সাথে কথা হয়েছিল।
“ওনার সাথে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেও অনুষ্ঠানটিতে আম্মার সাথে গিয়েছিলেন। ওর কাছে যেটা শুনেছি, আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বলছিল যে, আম্মা অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় ও যতক্ষণ ওখানে ছিলেন এবং উনি ফিরে আসার পরে মানসিকভাবে উনি এতটা বুস্টআপ ছিলেন যে, মনেই হচ্ছিল না উনি অসুস্থ একজন মানুষ।
“এই কথাটা দিয়ে আমার মনে হয় আর কারও বোধ হয় বুঝতে কারও বাকি থাকে না যে, আপনাদের সাথে সার্ভিসে অথবা রিটায়ার্ড যে অবস্থায় থাকুন আপনাদের সাথে জিয়া ফ্যামিলির বোধ হয় সম্পর্কটা কি? সেটা আমি ছোট্ট ঘটনাটি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলাম।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি এবং আমি বিশ্বাস করি যে, এই ঘটনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যারা এই ঘরে আছেন যারা আপনাদেরকে শুনবেন অথবা অনলাইনে যারা দেখছেন সবাই বোধ হয় বিষয়টা বুঝতে পারবেন উনি কতটা… উনার মনটা কোন জায়গায় আছে। কীভাবে দেখেন বাংলাদেশের ডিফেন্সকে।”
বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনাগুলোও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এগুলো বাস্তবায়নে তাদের সহায়তা চান।