মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা থেকে
প্রকাশ: ২৩:১৯, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি -বাংলার চোখ
খুলনার পাইকগাছায় কৃষক আমন ধান ঘরে তুলতেই বোরো আবাদে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে কৃষক আমন ধান কাটা শেষে ঝাড়া চলছে অন্যদিক আগাম বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমন ধান কাটার সাথে সাথে বোরোর বীজ তলা তৈরির কাজ চলছে। তীব্র শীত থেকে বীজতলা রক্ষায় এবার আগেভাগেই মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ছয় হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা ধান কেটে আগাম বীজতলা প্রস্তত করছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক শত ৪০ হেক্টর জমিতে বীজ তলা তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলার হিতামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, এ বছর প্রায় দুই বিঘা জমিতে বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। আমন ধান কাটতে দেরি হওয়ায় বোর আবাদ নাবি হবে। তবে আগাম বীজতলা তৈরি করে যে জমির ধান কাটা হবে সেখানে বোরো রোপন করা হবে। শীতে বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় তাই এবার আগেই বীজতলা তৈরি করেছি। গত বছর তীব্র শীতে আমার বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সে সময় অধিক দামে চারা কিনে জমি চাষ করেছিলাম, এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। তাই এবার আগেই বীজতলা তৈরি করছি।
গোপালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বরেন, কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের ধান চাষের জন্য নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত মৌসুমে ধানের ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা বোরো ধান চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার আগে বীজ তলা তৈরি করতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।