প্র্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:০২, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
নোয়াখালীতে গভীর রাতে বিআরটিসি ডিপোতে থাকা তিনটি যাত্রীবাহী দোতালা বাস পুড়ে গেছে।
নোয়াখালীতে বিআরটিসির সোনাপুর ডিপোতে গভীর রাতে ‘রহস্যজনক আগুনে’ তিনটি যাত্রীবাহী দোতালা বাস পুড়ে গেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে গভীর রাতে সন্ত্রাসীদের আগুনে বিআরটিসি ডিপোতে থাকা দুটি যাত্রীবাহী বাস সম্পূর্ণ ও একটি আংশিক পড়ে গেছে।
এখনো আগুন লাগার নির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও দায়িত্বহীনতা বিষয়টিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়তে দেখে তারা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পাওয়ার ১০–১৫ মিনিটের মধ্যেই মাইজদী ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে বাসগুলোর বডিতে ফোম থাকায় আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এবং ‘গুলবাহার’ ও ‘মালতি’ নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলকারী দুটি বাস সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। আরেকটি বাস আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোনাপুর বিআরটিসি ডিপোর ম্যানেজার মো. আরিফুর রহমান তুষার বলেন, খবর পেয়েই আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পুরো ঘটনাটি স্পষ্ট নাশকতা। আজই আমার বদলি হওয়ার কথা ছিল, সব প্রস্তুতিও শেষ। যাকে এখানে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তিনি আসতে অনাগ্রহী। আমার ধারণা, বদলি ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবেই এ অপকর্ম করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত প্রফেশনালভাবে ঘটানো হয়েছে। বাস তিনটি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আনা-নেয়া করা হতো।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘রাত ২টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং ১০ মিনিটের ভেতর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। দুটি বাস সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, একটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। আগুনের কারণ তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।