Banglar Chokh | বাংলার চোখ

মুক্তিপণে ফিরেছে অপহৃত পাঁচ কৃষকের চারজন

অপরাধ

আমান উল্লাহ কবির, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ২৪ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

মুক্তিপণে ফিরেছে অপহৃত পাঁচ কৃষকের চারজন

ছবি:সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় থেকে অপহৃত স্থানীয় পাচঁ কৃষকের চারজনকে লাখ টাকার মুক্তিপণ নিয়ে সন্ত্রাসীরা রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফেরত দিয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
 
মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসা অপহৃতরা হলেন-হ্নীলা পানখালী এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) শাহাজানের ছেলে জিহান (১৩), ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে শাওন (১৫) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান (১৫)। তবে আব্দুর রহিমের ছেলে মো নুরকে (১৮) এখনো ফেরত দেয়নি অপহরণকারীরা। এছাড়াও গত ৯ই মার্চ অপহৃত স্কুল ছাত্রকেও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। 
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার পাঁচ কৃষককে অপহরণের পর মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের ভাই মো. শফিকের মুঠোফোনে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। অবশেষে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে চারজনকে ফেরত দিলেও মুহাম্মদ নুর নামে আরেকজনকে ফেরত দেয়নি অপহরণকারীরা। মুহাম্মদ নুরকে ফেরত দিতে আরো ৫ লাখ টাকা দাবি করছে অপহরণকারীরা। 


তবে মুক্তিপণের বিষয়টি জানা নেই উল্লেখ করে টেকনাফে মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, হ্নীলায় একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ে অপহরণকারীদের খবরে সেখানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধাওয়া খেয়ে অস্ত্রধারীরা বাকি একজনকে নিয়ে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অপহৃত পরিবার মুক্তিপণের জন্য কাউকে টাকা দিয়েছে কিনা সেটি তারাই জানবেন।

এদিকে গেল ১০ই মার্চ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে ৭ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। একদিন পরে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন।
 
অন্যদিকে গত ৯ই মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তাকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। 
সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছে তাদের বেশিরভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়