আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:২১, ২০ জুন ২০২৫
ছবি:সংগৃহীত
হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভের পর ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেন জড়িত না হয় তার বিরোধীতা করে নিউইয়র্ক সিটির ব্রায়ান্ট পার্কে বিক্ষোভ করছেন শত শত মানুষ। ‘ন্যাশনাল ডে অব প্রোটেস্ট’-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এই সমাবেশে যুদ্ধবিরোধী নাগরিকদের পাশাপাশি ইরানি-আমেরিকানরাও অংশ নেন।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ইরানে ইসরায়েলি বোমা হামলা ও ইসরাইলি বাহিনীকে কোটি কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধে সরাসরি জড়িত না হতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা এবং বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্ল্যাকার্ড ধরেছিল। বেশ কয়েকজন লোক প্ল্যাকার্ড তুলেছিল যাতে লেখা ছিল ‘মানুষের প্রয়োজনের জন্য অর্থ। ইরানের সাথে যুদ্ধের জন্য নয়।’
এসময় জাতীয় ইরানি-আমেরিকান কাউন্সিলের সদস্য এটান মাবোরাখ বলেন, ইরানে আমার পরিবারের সদস্যরা হামলার মুখে রয়েছে। তেহরানে হাসপাতাল, মিডিয়া ভবন, এমনকি গ্যাস স্টেশন পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এটা শুধু পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর আক্রমণ নয়—এটি একটি বিস্তৃত সামরিক আগ্রাসন।
এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেবেন কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জোর আলোচনা। ইসরায়েল ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ নামে পরিচিত ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা চেয়ে চাপ সৃষ্টি করেছে, যা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম।
এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি কী করব সে বিষয়ে কিছু ধারণা রাখি, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। আমি সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি শেষ মুহূর্তে। তবে সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনসহ কংগ্রেসের একাধিক প্রভাবশালী সদস্য প্রেসিডেন্টকে সামরিক উত্তেজনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ওয়ারেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে আমরা কেউই নিরাপদ হব না—এতে মার্কিন স্বার্থও সুরক্ষিত হবে না।
অন্যদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’-এর দাবিকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যেকোনো মার্কিন হস্তক্ষেপ “অপূরণীয় ক্ষতির” কারণ হবে।
সূত্র:আল জাজিরা