ঢাকা, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ মুহররম ১৪৪৭

যুক্তরাজ্যের বিমানঘাঁটিতে ভাঙচুর, দুই যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশ: ০০:২৮, ২১ জুন ২০২৫

যুক্তরাজ্যের বিমানঘাঁটিতে ভাঙচুর, দুই যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত

আরএএফ ঘাঁটি ব্রাইজ নর্টন। ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ) ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকারীরা। গাজায় ইসরাইলি গণহত্যাকে সমর্থন করায় যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঘাঁটিতে দুটি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।

প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নামের একটি সংগঠন জানিয়েছে, তাদের দুই সদস্য অক্সফোর্ডশায়ারে অবস্থিত আরএএফ ব্রাইজ নর্টন ঘাঁটিতে প্রবেশ করে ভয়েজার নামের সামরিক বিমানের ইঞ্জিনে রঙ স্প্রে করে এবং লোহার রড দিয়ে সেগুলোতে আঘাত করে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘ইসরাইলি সরকারকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করলেও যুক্তরাজ্য এখনো সামরিক কার্গো পাঠাচ্ছে। গাজার আকাশে নজরদারি বিমান ওড়াচ্ছে এবং মার্কিন ও ইসরাইলি যুদ্ধবিমানে জ্বালানি সরবরাহ করছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাজ্য শুধু সহযোগী নয়, বরং গাজায় গণহত্যা এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধাপরাধে সক্রিয়ভাবে জড়িত।’

সামাজিক মাধ্যমে তাদের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, দুই আন্দোলনকারী বৈদ্যুতিক স্কুটার চালিয়ে আরএএফ ঘাঁটির ভেতরে প্রবেশ করে। এদের একজন পুনর্ব্যবহৃত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে বিমানের ইঞ্জিনে লাল রঙ স্প্রে করে।

সংগঠনটি জানায়, লাল রঙ ‘ফিলিস্তিনি রক্তপাতের প্রতীক হিসেবে রানওয়ের ওপরও স্প্রে করা হয়’ এবং ঘটনাস্থলে একটি ফিলিস্তিনের পতাকা রেখে যাওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে দাবি করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জন হিলি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং দেশের সকল সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।

সূত্র: আল জাজিরা

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন