ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০:২৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি :সংগৃহীত
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আজ যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। এ উপলক্ষে হাইকমিশন কমপ্লেক্সে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরাও এ অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করেন। দূতালয় প্রাঙ্গণ বিজয় দিবসের ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।
সকালে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন খান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। অতঃপর মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনাপর্বে বক্তাগণ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন খান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক গৌরবোজ্জল দিন। তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর শহিদ, যুদ্ধাহতসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা,সম্ভ্রমহারা মা-বোন, শহিদ পরিবারের সদস্য ও আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে আবদান রাখা সকল সংগ্রামী যোদ্ধাদের, যাঁদের ত্যাগ ও আত্মদানের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। এছাড়া, তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহত ছাত্র-জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি।
রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে আগামীতে এমন একটি গণতান্ত্রিক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ সার্থকতা লাভ করে। তিনি আরও বলেন যে, স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।
পরিশেষে দেশের জন্য আত্মত্যাগকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও, অপরাহ্নে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গণে শিশু-কিশোরসহ সকলের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।