ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০০:০৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
.
সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিতে আন্দোলনে গ্রেপ্তার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার এই আদেশ দেন।
এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম রেজাউল করিম ১৪ জনকে হাজির করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
কারাগারে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারিরা হলেন- বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বদিউল কবির, সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোমান গাজী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক আবু বেলাল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক কামাল হোসেন ও আলিমুজ্জামান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তায়েফুল ইসলাম, ইসলামুল হক ও মহসিন আলী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক বিপুল রানা বিপ্লব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র রায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস সহায়ক নাসিরুল হক নাসি।
নথি থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সচিবালয় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এরপরে তাদের গত শুক্রবার পাঁচ দিন রিমান্ডে পাঠান আদালত।
এজাহার থেকে জানা গেছে, সচিবালয়ে কর্মরত সবার জন্য ২০ শতাংশ ‘সচিবালয় ভাতার’দাবিতে বুধবার আন্দোলনে নামেন সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগের বুধবার বেলা আড়াইটার পর তারা সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে কার্যত ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন তিনি। পরে সরকারি আদেশ (জিও) জারির ‘আশ্বাস পেয়ে’ রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। তারা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার মধ্যে জিও জারির ‘আশ্বাস পেয়ে’অবস্থান থেকে সরে গেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় সচিবালয়ে তারা আবারও জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় সমাবেশ থেকে ‘পূর্ণদিবস কর্মবিরতির’কথাও বলা হয়।