ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

৩ পৌষ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

আসামের মুখ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের উচিত দুটি ‘সংবেদনশীল’ করিডোরের দিকে নজর দেওয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯:০৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের উচিত দুটি ‘সংবেদনশীল’ করিডোরের দিকে নজর দেওয়া

ছবি :সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহের এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার প্রসঙ্গে তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

 হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বাংলাদেশি নেতাদের হুমকি ক্রমেই ভারতের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ‘চিকেনস নেক’-এর দিকে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। ভারতকে হুমকি দেওয়ার আগে বাংলাদেশের উচিত নিজেদের দুটি ‘সংবেদনশীল’ করিডোরের দিকে নজর দেওয়া। তিনি উল্লেখ করেন, প্রথম করিডোরটি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি অঞ্চল এবং দ্বিতীয়টি দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডোর।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি ভারত কোনোভাবেই সহ্য করবে না।

গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এক বক্তব্যে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বাংলাদেশের নেতারা যদি এ ধরনের হুমকি অব্যাহত রাখেন, তাহলে নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন নীরব থাকবে না। তিনি বাংলাদেশের জনগণের মানসিকতা নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ভারত একটি বৃহৎ দেশ, একটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।

প্রসঙ্গত, এর আগে এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দিতে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকদের অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ এনে ভারতকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশ্রয় দিতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিতে পারে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন করার পদক্ষেপ নিতে পারে।

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাসনাত আবদুল্লাহ এই ধরনের মন্তব্য করা প্রথম ব্যক্তি নন। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘স্থলবেষ্টিত অঞ্চল’ হিসেবে উল্লেখ করে সমুদ্রপথে প্রবেশাধিকারের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বাংলাদেশি নেতাদের হুমকি ক্রমেই ভারতের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ‘চিকেনস নেক’-এর দিকে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে।

সূত্র: দ্যা হিন্দু

আরও পড়ুন