মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা
প্রকাশ: ২২:৪৯, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ছবি- বাংলার চোখ
খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় নিত্যপণ্যের দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। বিশেষ করে সবজি, মাংস ও কিছু মাছের দামে নজরকাড়া পরিবর্তন দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৭৩০ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের মাংস ১১০০ ও ভেড়ার ৯০০ টাকা—যা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। দেশি মুরগি কেজি প্রতি ২৫০ টাকা, লেয়ার ২৫০-২৬০ আর বয়লার ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও অন্যান্য মাংসের দামের প্রভাব বাজারে স্পষ্টভাবে পড়েছে। মাছের বাজারেও দেখা গেছে দামের অস্থিরতা। ভেটকি মাছ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও পাঙ্গাশের দাম কমে গত সপ্তাহের ১৮০ থেকে ১৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। টেংরা ৪০০–৪৫০ টাকা, রুই মাছ ২৪০–২৫০, তেলাপিয়া ১২০–১৩০, দাতনী মাছ ৬৫০, পাবদা ৩০০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে এবং চালী চিংড়ি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন—চাহিদাসম্পন্ন মাছগুলোর দাম আগের তুলনায় মোটের ওপর বেশি।
উপজেলার বাণিজ্যিক নগরী কপিলমুনি ও পৌরসভা বাজার সহ অন্যান্য বাজারে চিত্র এটা। সবজি বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে। কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে ১২০–১৩০ টাকা থাকলেও এখন ১৬০–১৮০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১২০–১৩০ টাকা—প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি। সাধারণ পেঁয়াজ ৮০–৯০ টাকা। আলু ২৫ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৩০ টাকা। বাঁধাকপি গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বাড়ায় এখন ৪০ টাকা। ফুলকপি ৬০ থেকে বেড়ে এখন ৭০ টাকা। বরবটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ওলকপি দাম কমে ৬০ টাকায় নেমেছে ২০ টাকা কমেছে। পেঁপে ২৫–৩০, মুলা ৩০, কচু ৫০, টমেটো ১০০, শসা ৮০–৯০ এবং গাজর ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কপিলমুনি বৃহস্পতি ও রবিবার এ দুই দিন পাইকারি কেনাবেচা হয়। রবিবার বাজারে আসা কয়েকজন খুচরা ক্রেতা বলেন, যে জিনিসই কিনতে যাই, আগের চেয়ে বেশি দাম দিতে হচ্ছে। সবজি থেকে মাছ সবকিছুতেই দাম বাড়তি। দৈনন্দিন বাজার খরচ সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, পাইকারি বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়া পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দাম বাড়ছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, বাজারে নিয়মিত মনিটরিং জোরদার না হলে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। তারা প্রশাসনের কাছে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।